ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংক হচ্ছে একটা অফ পেজ এসইও টেকনিক। অতীতে ওয়েব ২.০ বা ওয়েব-টু একটি শক্তিশালী লিংক বিল্ডিং এর মাধ্যম ছিল। বর্তমান সময়ে এটা থেকে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। অর্থাৎ র্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে এর ভুমিকা খুব সীমিত।
2024 সালে, ওয়েব ২.০ লিঙ্ক সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন কৌশলগুলোর একটি দরকারী অংশ হিসাবে রয়ে গেছে। কারণ, সঠিকভাবে করতে পারলে এটা আপনার এসইও র্যাঙ্কিং-এ ও ক্যাম্পেইন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে।
এই টাইপের ব্যাকলিংক তৈরি করলে একটি সুবিধা পাওয়া যায়। আমরা জানি, লিংকের ভ্যেলু অনেকটা আশেপাশের কনট্যাক্স বা কন্টেন্ট এর টপিক ও ওই সাইটের নিশ এর এর উপরে ডিপেন্ড করে। আর যেহেতু ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংক করার সময় কনভার্সন বা কন্টেন্ট নিজরাই কন্ট্রোল করতে, highly authoritative domains থেকে লিংক নিতে পারি তাই শক্তিশালী র্যাঙ্কিং পাওয়ার জেনারেট করা সম্ভব।
তাই, একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে, ওয়েব ২.০ backlink তৈরি করতে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তো আসুন জেনে নেই, সঠিকভাবে এটি তৈরি করার নিয়ম।
ওয়েব ২.০ কি?
২০০০ সালের মাঝামাঝি থেকে ওয়েব 2.0 প্ল্যাটফর্মগুলি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং এগুলো ব্যবহারকারীদের কন্টেন্ট তৈরি, শেয়ার, এবং অনলাইনে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দেয়। ওয়েব 1.0 এর সাথে এর পার্থক্য হল, ওয়েব 1.0 মূলত স্থির ওয়েবসাইট এবং শুধুমাত্র পড়ার উপযোগী কন্টেন্টের উপর ভিত্তি করে ছিল কিন্তু ওয়েব 2.0 প্ল্যাটফর্মগুলো অনেক বেশি ইন্টারেক্টিভ এবং ব্যবহারকারীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে।
ওয়েব 2.0 প্ল্যাটফর্ম গুলো ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট, যেখানে আমারা বিনামূল্যে ব্যক্তিগত ব্লগ বা ওয়েবসাইট খুলতে পারি।
বস্তুত, ওয়েব 2.0 হল বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশন, যেগুলিতে যে কোনো ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবেন। পোস্ট করতে পারবেন, ইমেজ, ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন। এই সময়ে, একজন দক্ষ এসইও এক্সপার্ট হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে, এটি সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা থাকা দরকার।
পৃথিবীর অনেক SEO Experts-রা এখনও এই উপায় ব্যবহার করে ব্যাকলিংক করে থাকেন। কেননা সঠিক উপায়তে ব্যবহার করতে পারলে, কম কম্পিটিশন এর কীওয়ার্ড র্যাঙ্কিং করতে ওয়েব-টু ভালো ভুমিকা রাখতে পারে। তাছাড়া contextual backlink ও নোফলো-ডুফলো ratio ঠিক রাখতে এর ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা এর বিকল্প গেস্ট পোস্ট বা কমিউনিটি ব্লগিং যেগুলো করতে বেশ খরচ হয়।
ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংক কি?
ওয়েব 2.0 ব্যাকলিঙ্কগুলো ওয়েব 2.0 প্ল্যাটফর্ম সামাজিক নেটওয়ার্ক, ব্লগ, উইকি, ফোরাম, এবং মাল্টিমিডিয়া শেয়ারিং সাইট থেকে প্রাপ্ত লিঙ্কগুলোকে বোঝায়।
ওয়েব ২.০ প্লাটফর্মে ফ্রি সাইট তৈরি করে সেটা থেকে আপনার মেইন ব্লগে বা ওয়েব সাইটে যে লিংক নেওয়া হয় হয়, সেটাকে web 2.0 backlink বলে। কোন সাইটের অফ পেজ এসইও করতে এই ধরণের ব্যাকলিংক তৈরি করা হয়।
ফ্রিতে হলেও ওয়েব ২ প্লাটফর্মগুল সীমিত আকারে ডিজাইন, অপ্টিমাইজেশন ও কাস্টমাইজেশন করাতে দেয়।
এই টাইপের ব্যাকলিংক এর সুবিধা হল- আপনি নিজে এটা তৈরি করছেন, সুতরাং সব কিছুই আপানার হাতে থাকে। সুতরাং, পছন্দমতো এঙ্কর টেক্সট দিয়ে লিংক নিতে পারবেন। কন্টেন্ট এর মধ্যে থেকে ডু-ফোলে লিংক নিতে পারবেন।
এই উপায়টি গ্রে হ্যাট এবং আপনার ওয়েবসাইটকে penalize হতে পারে। এগুলি ব্যবহারের জন্য আমাকে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল, সুতরাং এটি কোন বাচ্চাদের খেলা নয়। সাবধান হন।
কোন ওয়েব 2.0 লিংক পাওায়ারফুল?
ওয়েব 2.0 গুলি কার্যকর কারণ আপনি এগুলিকে ব্যবহার করে মুলসাইটে অথোরিটি খুব সহজে বৃদ্ধি করতে পারবেন। যদিও, আপনার তৈরি করা ওয়বে ২.০, একটি সাব-ডোমেন এবং অথোরিটি জিরো।
তবে, তা খুব তাড়াতাড়ি বাড়ানো যায়।
ওয়েব টু জনপ্রিয় কারনঃ
- এদের Page Authority (PA) দ্রুত তৈরি হয়।
- কয়েকটি শক্তিশালী লিংকের পেলে, কোন ওয়েব 2.0 একটি পিএ 0 থেকে PA 30 + এ যেতে পারে।
- আর এটা ভুলে যাবেন না, আপনি প্রাসঙ্গিক(relevant) লিংক পাবেন। (ওয়েব টু-র কন্টেন্ট গুলি রিলেভেণ্ট হলেই, একটি রিলেভেন্ট লিংক ও পাবেন।)
সুতরাং, প্রশ্নটি হল: আপনি কীভাবে একটি ভাল মানের ওয়েব 2.0 তৈরি করবেন?
কীভাবে শক্তিশালী ওয়েব ২.০ তৈরি করবেন?
ওয়েব টু তৈরি করা খুব একটা ঝামেলার কাজ নয় বরং, এটি বেশ সহজ কাজ কিন্তু সময় সাপেক্ষ। আমি আপনাকে কীভাবে সহজ এবং পাওয়ারফুল ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংকগুলি তৈরি করবেন তা ধাপে ধাপে বর্ণনা করব।
গুগলের অ্যালগরিদম পরিবর্তিত হওয়ার কারণে, ওয়েব 2.0 ব্যাকলিংক বিল্ডিংয়ের কৌশলগুলিও পরিবর্তিত হয়েছে। তবে ওয়েব 2.0 প্ল্যাটফর্মে সঠিকভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করা এখনও SEO এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ডোমেন অথরিটি বৃদ্ধি করে, সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং উন্নত করে এবং রেফারেল ট্র্যাফিক বাড়াতে সহায়তা করে।
1. ওয়েব-টু একাউন্ট তৈরি করুন
প্রথমে, আপনি একটি web 2 platform এ আকাউন্ট তৈরি করে নিন। তারপরে, আমারা নিজেদের ব্লগে যেভাবে পোস্ট দেই, সেভাবেই পোস্ট দিতে পারবেন। এবং, লিংক করতে পারবেন।
আপনাকে ওয়েব ২.০ এর জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে, সুতরাং এই জন্য একটি (ডিফল্ট) ইমেল তৈরি করুন। প্রতিটা সাইটে একটি ইমেইল বা আলাদা আলাদা ব্যবহার করলে ক্ষতি নেই।
পছন্দ মত বা কীওয়ার্ড এবং competition উপর নির্ভর করে কতগুলো ওয়েব ২ করবেন তার লিস্ট করে নিন।
2. ওয়েব-টু সাইট তৈরি করুন
ওয়েব ২.০ তৈরির সময় URL- এ কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে Seed Keyword বা কীওয়ার্ড এর আংশিক অংশ ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ keyword.wordpress.com
আপনি যদি ব্যাকলিংকের জন্য একাধিক ওয়েব 2.0 প্রপার্টি তৈরি করেন, তাহলে আপনার URL-এ কীওয়ার্ড একই কিওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত না। প্রতিটি ওয়েব 2.0 সাইটে একই কীওয়ার্ড পুনরাবৃত্তি করবেন না।
লিংক বিল্ডিংকে আরও স্বাভাবিক করে তুলতে রিলেটেড কিওয়ার্ড, লেখকের নাম ইত্যাদি ব্যবহার করুন।
3. ওয়েব-টু সাইটে প্রয়োজনীয় পেজ তৈরি করে নিন
প্রতিটি ওয়েব 2.0 সাইটে চারটি প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠা থাকা উচিত: about, contact, terms of use, and privacy policy. এই পৃষ্ঠাগুলি তৈরি করে, ওয়েব 2.0 সাইটের জন্য বিশ্বাস এবং কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবেন।
আর একটি ব্লগ পেজ তৈরি করতে ভুলবেন না। এই ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করেই, লিংক নিতে হবে।
4. ব্লগে আর্টিকেল পোস্ট করুন
কিভাবে ওয়েব 2.0 ব্যাকলিংক তৈরি করবেন তার পরবর্তী ধাপ হল আপনার ব্লগের আর্টিকেলে পাবলিশ করা।
প্রতিটি ওয়েব-টুতে ১০ থেকে ২০টি ইউনিক এবং ইন্ডেপ্ট ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করতে হবে। এক্ষেত্রে নিশ রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলোকে প্রাধন্য দিন। এটি সাইটটিকে Google, Yahoo এবং Bing-এ দ্রুত ইনডেক্স করতে সাহায্য করবে।
কিওয়ার্ড বাছাই করার সময় আমি গুগলের "People also ask" সেকশনটি থেকে আইডিয়া নিয়ে থাকি। প্রতিটি কন্টেন্ট এর লেন্থ ৫০০-১০০০ ওয়ার্ড রাখুন।
এছাড়াও
* সম্পূর্ণ প্রোফাইল তৈরি: আপনার ব্যবসার প্রোফাইল সম্পূর্ণ করুন এবং সাইট লিঙ্ক, মিডিয়া গ্যালারি এবং কন্টাক্ট ইনফো যুক্ত করুন।
* মাল্টিমিডিয়া আপলোড: আপনার সাইটের মূল বিষয়ের সারাংশ ইনফোগ্রাফিক, ভিডিও বা পডকাস্ট ক্লিপ আকারে তৈরি করে শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে আপলোড করুন।
5. ওয়েব-টু ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করুন
আপনি ব্লগে একটি ভাল সংখ্যক ( কমপক্ষে ১০ টি) পোস্ট প্রকাশ করার পরে, ওয়েব 2.0 ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করতে পারেন। যদি আপনি আপনার প্রথম পোস্টেই লিংক অ্যাড করে তাহলে সেটা ন্যাচারাল হয় না।
Google এর সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েব 2.0 সাইটটি ইন্ডেক্স করা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাও একটি ভাল প্রাকটিস। ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করার কোন মানে নেই যেটি SERP-এ ইনডেক্স হয় না।
এখন ব্যাকলিংক আপনি নতুন একটা ব্লগ আর্টিকেলে বা পুরাতন ইনডেক্স হয়েছে এমন পোস্ট বেছে নিতে পারেন।
6. আরও আর্টিকেল শিডিউল করে পাবলিশ করুন
আপনার সাইটে পোস্ট দেয়া বন্ধ করা যাবে না। কেননা অনেক ওয়েব-টু প্লাটফর্মে আপনি নিয়মিত পোস্ট না করলে আপনার সাইটটি ডিলিট করে দিতে পারে।
ওয়েব 2.0 সাইটগুলিকে আপনার মালিকানাধীন অন্য যেকোন ওয়েবসাইটের মতোই ব্যবহার করতে হবে; নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করে এবং সেগুলিকে মূল্যবান অনলাইন সম্পদ তৈরি করতে হবে।
অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় রাখতে আপনার প্রতি মাসে 1টি নতুন পোস্ট পাবলিশ করা উচিত।
7. ওয়েব-টু সাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করুন
ওয়েব 2.0 ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করার পরে আপনার আরেকটি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা হল, এর জন্য লিংক তৈরি করা।
যেহেতু আপনার মূল সাইটের এসইও এবং র্যাঙ্কিংয়ের উদ্দেশ্যে এই ধরনের সাইট তৈরি করেছেন, তাই আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত সেগুলিকে যতটা সম্ভব শক্তিশালী করা। ওয়েব-টুর হোমপেজ ও ব্লগ পোস্ট এর জন্য পৃথক ভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করে নিন।
8. সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন
একটি ভাল ওয়েব 2.0 সাইট তৈরি করতে অনেক সময় এবং প্রচেষ্টা লাগে এবং অরগানিক ট্র্যাফিক এবং ন্যাচারাল ব্যাকলিংকের সংখ্যা বাড়াতে সাইটে প্রকাশিত আর্টিকেলগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন।
কীভাবে ওয়েব ২.০ এর জন্য কন্টেন্ট তৈরি করবেন
ভাল ফল পেতে, কন্টেন্ট অবশ্যই এসইও অপ্টিমাইজইড, ইউনিক হতে হবে।
সফলতার কোন সহজ রাস্তা নেই। ফলাফল ভাল পেতে অবশ্যই ভাল কাজ করতে হবে। আমারা যারা নিজে নিজে এসইও এক্সপার্ট হতে চান তারা কষ্ট করে কাজ করতে প্রায়শ পিছ পা হই। এটা করবেন না।
আসুন, জেনে নেই এই ব্যাকলিংক বানানোর Strategy. আমি এখনে সাধারন প্রস্ন গুলির উত্তর দিতে চেষ্টা করেছি।
পোস্টের কন্টেন্ট কী রকম হবে
ওয়েব টুর কন্টেন্ট নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। অনেক প্রস্ন ও ভয় কাজ করে।
কন্টেন্ট কীভাবে পাব?
- এটি নিজে লিখুন বা, কম দামে ইউনিক কন্টেন্ট কীনুন
- স্পিন করে নিন (না করাই ভাল)
- বিভিন্ন সাইটে থেকে কপি করুন ((না করাই ভাল)।
কন্টেন্ট এ কত ওয়ার্ড দিতে হবে?
৫০০-১০০০ ওয়ার্ড দিলেই চলবে। তবে, বড় দিলে আরও ভাল। 1-3% কীওয়ার্ডের ঘনত্ব মেইন্টেন করুন। মেইন কীওয়ার্ড এর রিলেভেন্ট পোস্ট দিতে হবে।
কয়টা পোস্ট করতে হবে?
৩-১০ টা দিতে পারেন। তবে, আপনার বাজেট বা সময় থাকলে ৭-১০ টি পোস্ট দিবেন। এতে ফলাফল ভাল আসবে।
আর্টিকেল -এ ছবি, ভিডিও দিব কীনা?
সব পোষ্টে ছবি বা ভিডিও না দিলেও হবে। ইমেজ-এ alt টেক্সট দিতে ভুলবেন না।
লিংক করার উপায়
ব্যাকলিংক তৈরি করার গাইডটি ও প্রস্নউত্তর আকারে সাজানো হল।
লিংক কীভাবে নিবেন, কতগুলো নিবেন?
ডুফলো লিংক নিবেন। Author Bio থেকে লিংক নিতে পারেন, তবে আর্টিকেলের প্রথম দিকে নিতে পারলে ভালো হয়। এঙ্কর টেক্সট থাকবে এবং প্রতিটি সাইট থেকে একটি লিংক নেওয়া সেফ। তবে, চাইলে একাধিক লিংকও নিতে পারেন।
ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিংক কী করতে হবে?
ইন্টারনাল লিংক অবশ্যই করবেন। এক্সটারনাল লিংক দিতে হবে, তবে প্রতি পোস্টে না দিলেও চলবে। এক্সটারনাল লিংক দেওয়ার ক্ষেত্রে অথোরিটি সাইটগুলো বেছে নিন, এতে পেনাল্টির ঝুঁকি কমে যাবে।
এঙ্কর টেক্সট কী হবে? সব সময় মেইন কীওয়ার্ড ব্যবহার করা ঠিক হবে কি?
সবসময় মেইন বা মানি কীওয়ার্ড এঙ্কর হিসেবে ব্যবহার করবেন না। ওভার অপ্টিমাইজড এঙ্কর টেক্সট ব্যবহার করলে পেনাল্টি খেতে পারেন।
এগ্রেসিভ লিংক বিল্ডিং করলে, ৮০-২০ রুল অনুসরণ করুন। ৮০% লিংক নিন মেইন কীওয়ার্ডের লংটেল এঙ্কর দিয়ে, এবং ২০% লিংক নিন মেইন কীওয়ার্ড দিয়ে। তবে, আপনার সাইটের লিংক প্রফাইল ভালো না হলে এগ্রেসিভ লিংক বিল্ডিং করা উচিত নয়।
- যদি আপনি এগ্রেসিভ লিংক বিল্ডিং না করেন, তবে ব্লগ সাইটের ক্ষেত্রে হোমপেজে ৩০%-৪০% লিংক ব্র্যান্ড নেম এঙ্কর দিয়ে নিন।
- ৫০%-৬০% লিংক নিন মেইন কীওয়ার্ডের লংটেল বা পারশিয়াল কীওয়ার্ড দিয়ে, এবং
- ১০%-২০% লিংক নিন সরাসরি মেইন কীওয়ার্ড দিয়ে।"
About us ও contact us পেজ কী বানানো লাগবে?
হ্যা, অবশ্যই বানাবেন। পারলে প্রাইভেসি পলেসি পেজ বানাবেন। একটি সাধারণ সাইটে যে সকল পেজ থাকে, সেগুলি বানাতে হবে।
ওয়েব ২.০ প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট কীভাবে তৈরি করবেন?
ওয়েব ২.০ প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট তৈরি করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার:
- ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্ট: আপনার কন্টেন্টটি ব্যবহারকারীদের সাথে ইন্টারেক্ট করতে পারে এমনভাবে তৈরি করুন। যেমন, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক বা কুইজ।
- প্রাসঙ্গিক এবং মানসম্পন্ন কন্টেন্ট: কন্টেন্ট অবশ্যই আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং মানসম্পন্ন হতে হবে।
- কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশন: সঠিক কীওয়ার্ড দিয়ে কন্টেন্ট অপ্টিমাইজ করুন, তবে ওভার অপ্টিমাইজেশন থেকে বিরত থাকুন।
AI-Generated Content কি ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংকের জন্য কার্যকর?
AI-Generated Content ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংকের জন্য কার্যকর হতে পারে, তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে:
- মানসম্পন্ন কন্টেন্ট: AI-Generated Content যদি মানসম্পন্ন এবং প্রাসঙ্গিক হয়, তবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- স্বয়ংসম্পূর্ণ এডিটিং: AI-Generated Content প্রায়ই কিছুটা সম্পাদনা এবং মানবিক স্পর্শ প্রয়োজন হয়। অতএব, সম্পূর্ণ নির্ভুলতার জন্য কন্টেন্টটি ম্যানুয়ালি যাচাই করা উচিত।
- গুগলের নির্দেশিকা মেনে চলা: AI-Generated Content ব্যবহার করার সময় গুগলের গাইডলাইনগুলো মেনে চলা উচিত, যাতে পেনাল্টির ঝুঁকি কম থাকে।
ওয়েব ২.০ সাইটকে powerful করব কীভাবে
আগেই বলেছি, ভাল কীছু লিংক পেলে ওয়েব ২ গুলির DA, PA দ্রুত বাড়ে। সুতরাং, লিংক বানানোর জন্য আপনাকে সময় দিতে হবে।
কেননা, অন্য মাধ্যম থেকে কন্টেন্টচুয়াল লিংক পাওয়া ব্যয় বহুল।
এক্ষেত্রে, টিয়ার ২ ব্যাকলিংক করবেন। এটা বেশ কার্যকরী।
প্রো টিপসঃ শুধু নাম্বার লিংক বাড়াবেন না, লিংক এর কোয়ালিটির দিকে নজর দিন। একটি সাইটের জন্য ৫-১০ টি ওয়েব টু থেকে লিংক নিলেই হবে।
জনপ্রিয় ওয়েব ২.০ সাইট লিস্ট
Website | Link Type |
---|---|
blogspot.com | DoFollow |
tumblr.com | DoFollow |
wordpress.com | DoFollow |
medum.com | NoFollow |
issuu.com | DoFollow |
blogger.com | DoFollow |
livejournal.com | DoFollow |
goodreads.com | DoFollow |
zoho.com | DoFollow |
weebly.com | DoFollow |
wix.com | DoFollow |
box.com | DoFollow |
myanimelist.net | DoFollow |
evernote.com | DoFollow |
minds.com | DoFollow |
ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংক নিয়ে আমার মন্তব্য
এসইও তে এরকম আরও অনেক প্রকার লিংক তৈরি করা যায়। সম্পূর্ণ এসইও শিখতে আপনাকে কী পরিমান সময় লাগবে সেটা এই সব টুকীটাকী বিষয় আপনি কীভাবে শিখছেন তার উপরে নির্ভর করে।
লিংক হিসেবে ওয়েব ২.০ ব্যবহার করতে পারেন। তবে ২০২৪ সালের সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং-এ এর গুরুত্ব কিছুটা কমেছে। আসলে সব ধরনের ব্যাকলিংকের ভ্যালু কিছুটা কমে গেছে। তবে এখনো এটি বেশ পাওয়ারফুল।
২০২৪ সালে ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংক করার ক্ষেত্রে সংখ্যা থেকে গুণগত মানের দিকে বেশি নজর দিন। ১০০টা বাজে লিংক করার চেয়ে একটি গুণগত মানসম্পন্ন লিংক করা অনেক ভালো। এতে করে গুগলের পেনাল্টি থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।
হয়তো আপনি ফাইভার এর মতো মার্কেটপ্লেসে মাত্র ৫ ডলারে ৩০০-৪০০ ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংকের গিগ দেখেছেন। এগুলো বট আর স্পিন কন্টেন্ট দিয়ে খুব অল্প সময়ে করে ফেলা যায়। আর এভাবে করলে পেনাল্টি অবধারিত।
সে যাই হোক না কেন, আশা করি আপনাদের ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংক বিল্ডিং সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছি। তবে, আপনার যদি কিছু জানার বা বোঝার থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানতে পারেন।
13 comments on “ওয়েব ২.০ ব্যাকলিংক গাইড: কীভাবে শক্তিশালী ওয়েব-টু লিংক বানাবেন ”
ধন্যবাদ ভাই,এমন সুন্দর একটা লেখা উপহার দেবার জন্য
Thank you so much lutfor vai
for this wonderful blogঅন্যের ওয়েবসাইটে যেয়ে কিভাবে ওয়েব টু জিরো এর হাইপার লিং পাবো ভাই ?
Amar kisu Quation:
1. Web 2.0 Backlinks create kora site google index korte hobe?2.web 2.0 Backlinkser jonno website address (URL)ki debo?
3. Akti web 2.0 Backlinks account kora site theke Onekgulu buyerer jonno post kore Backlinks nile hobe. Jodi niche relevant hoi?
Asha kori answer dia help korben.
Thank youভাইয়া একটি web 2.0. সাইট থেকে কি আলাদা আলাদা ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক করতে পারবো?
Bhalo
web 2.0 নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন?
১. একটা সাইট বানিয়ে তাতে কিছু পোষ্ট করতেতো সময় লাগে। তাহলে কি এটা আগে থেকেই বানিয়ে রাখতে হয়? জেনো ক্লায়েন্ট চাইলেই তার ব্যাকলিংক দেওয়া যায়? নাকি ক্লায়েন্ট চাইলে নিশ রিলিভেন্ট করে বানাতে হয়?
২. এতে কি চ্যাট জিপিটি দিয়ে লেখা কন্টেন্ট দেওয়া যায়?সত্যি বলতে 2024 সালের শেষের দিকে এসে আপনার আর্টিকেলটি পড়ে অত্যন্ত উপকৃত হলাম। অনেক ভালো ভালো বিষয় আপনি তুলে ধরেছেন। সাথে আপনি ওয়ার্নিং দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন এটা করা ভালো বা এটা করা খারাপ । অন্য জায়গায় এরকম আর্টিকেলে আমি খুব কম দেখেছি ।
এ আর্টিকেলটি পড়ার পর অন্যান্য আর্টিকেল পড়ার ইচ্ছা জাগলো ।
আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে সবকিছু তুলে ধরার জন্য ।
মন্তব্য করুন